এইচ.এম.এ রাতুল : বরিশালের আলোচিত ইউপি সদস্য মাদক স¤্রাট রাসেল হাওলাদার (৩৫) ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৩০) কে ইয়াবার বড় চালানসহ আটক করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন একাধিক মামলার আসামী রাসেলকে ধরতে তৎপর ছিলেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রাসেল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং উত্তর লামছড়ি এলাকার তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লামছড়ি গ্রামে ইউপি সদস্যের ঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুই হাজার ৪৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, চায়ের ফ্লাস্ক খুলতেই একের পর এক বের হয়ে আসছে ইয়াবার প্যাকেট। বিশেষভাবে প্যাকেট করা এসব ইয়াবার চালান এনেছেন বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রাসেল হাওলাদার। এছাড়া অভিযানের সময় দুইটি বগি দা, দুইটি চায়নিজ কুড়াল, একটি রামদা ও একটি করাত জব্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর কাউনিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হলে ৪০টি ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি আটক হন। পরে তিনি জানান আসন্ন দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ইয়াবার বড় চালান এনেছেন রাসেল মেম্বার। এরপরই রাসেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ইয়াবা বিক্রির জন্য লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় থাকতেন রাসেল মেম্বার ও তার পরিবার। পারিবারিকভাবে মাদক ব্যবসা করেন তারা।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, আটককৃত রাসেল ও তার স্ত্রীর নামে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়েও মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকায় দ্রুত রাসেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুলিশের। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য রাসেলের বিরুদ্ধে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া ও কোতয়ালি মডেল থানায় মাদক আইনে ১৮টিসহ মোট ২৩টি মামলা আছে।