ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

কলাপাড়ায় ফসল ডুবল বৃষ্টির পানিতে, কৃষকের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিবেদন
আগস্ট ১০, ২০২৩ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়া উপকূলের হাজারো কৃষকের স্বপ্ন এখন বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। বৈরী আবহাওয়ায় সারাদেশে চলছে ভারী বর্ষণ। বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধান, করলা, লাউ, মরিচ, পেঁপেসহ একাধিক ফসল বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা এতদিন যে অপেক্ষায় ছিলেন, তা টানা বর্ষণে নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।

গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত একটানা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক ফসলি ক্ষেত।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মোস্তফাপুর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বিলে শুধু পানি আর পানি। বেশিরভাগ ক্ষেতই তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকার ফসল।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, এ বছর আমি ২ একর জমিতে মরিচ এবং করলা চাষ করেছিলাম, ফলনও অনেক ভালো হয়েছিল। কিন্তু টানা বর্ষণে আমার সমস্ত ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সব গাছ মরে যাচ্ছে। এখন বিক্রির মতো গাছে যে ফসলগুলো আছে তা তুলছি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমার প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম, বিক্রিও ভালো হবে। কিন্তু বৃষ্টির পানি সব কিছু শেষ করে দিয়েছি। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।

ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের কৃষক লতিফ হাওলাদার বলেন, আমি এ বছর সাড়ে চার একর জমিতে বোরোধান রোপন করেছি। বর্তমানে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে। পুরোপুরি না পাকায় ধানগুলো কাটতেও পারছি না, তবে বেশিরভাগ ধানই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনেক পরিশ্রম করে বাড়ির পাশের জমিতে একটি পেঁপে বাগান করছি। কিন্তু বৃষ্টির পানি এতটাই বেড়েছে যে, পুরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছগুলো সব শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এভাবে বৃষ্টি থাকলে গাছগুলো সব মরে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআর সাইফুল্লাহ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমী সবজির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য আমাদের একটি টিম কাজ করছে। তবে কৃষকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।