ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ, বন্ধ খেয়া পারাপার

নিজস্ব প্রতিবেদন
অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর, কলাপাড়া ও তালতলীর মধ্যবর্তী জালালপুর এবং সওদাগার পাড়া যাতায়াতের একমাত্র বাহন খেয়া। খেয়ার ইজারা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খেয়া পাড়াপাড় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। চাদাঁর টাকা না পেয়ে ইজারাদারকে মারধর এবং খেয়া বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তালতলী উপজেলার সওদাগর পাড়ার ইউপি সদস্য জসিম সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ২ দিন খেয়াবন্ধ থাকায় দুই পাড়ে পারাপারে যাত্রীদের ভোগান্তি পড়তে হয়।

তালতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুনরায় খেয়া চালু হলেও ইজারাদারকে খেয়া চালাতে দিচ্ছেন না। হামলার ভয়ে প্রশাসনের কাছে ঘুরছেন ইজারাদার।

জানাগেছে, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় ইজারা নিয়েছে নিজাম পাহলান। ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করতে গেলে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী সহ আত্মীয় স্বজনদের খেয়াপারে কোন টাকা দিবেনা বলে জানান। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হলে কামাল গাজী সহ ৭/৮ জন নিজাম পাহলানের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হয়ে কলাপাড়া হসপিটালে ভর্তি হয় ইজারাদার নিজাম পহলান। এ ঘটনায় মামলা হলে বন্ধ হয়ে যায় খেয়া পারাপার।

মাহমুদা নামের এক যাত্রী জানান, খেয়াঘাটের ঝামেলায় অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি। কেউ আসছেনা পাড় করতে আমার তারাহুরো যাওয়া লাগে। এই ঝামেলার খুব দ্রুত সমাধান করা উচিৎ। খেয়া বন্ধ থাকলে ভোগান্তির শেষ থাকে না আমাদের। কারন আন্ধার মানিক নদী পারাপারের একমাত্র বাহন খেয়া। নিজাম পাহলানের ভাগিনা বলেন, মামা নিজাম পাহলানকে মারধরের পরে অনেক যাত্রী জমা হয়ে যায় ঘাটে, আমি তাদেরকে পার করতে গেলে ওপারের স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম গাজী আমাকে ডেকে বলেন আমি সহ আমার মামারা যেন খেয়াঘাটে না আসি। পড়ে তার নেতৃত্ব ছোট নৌকায় তাঁরা মানুষ পারাপার করেন।

নিজাম পাহলানের ছোট ভাই মিজান বলেন, আমরা দীর্ঘ তিন বছর যাবত খেয়া পরিচালনা করে আসছি। ওপারের জসিম মেম্বার সহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার ভাইয়ের উপরে হামলা চালায়। আমাদের কাছ থেকে তাঁরা খেয়া জোর করে নিয়ে যাত্রী পারাপার করে। এতে আমাদের অনেক অর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

ইউপি সদস্য জসিম গাজী বলেন, এই খেয়া নিয়ে আমাদের কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই, তবে এই খেয়া পরিচালনা করা নিজাম পাহলান মানুষের সাথে খারাপ আচরন করেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। আমি ইউপি সদস্য সেই হিসেবে আমার কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আমি অনেকবার সাবধান করে দিলেও তারা পরিবর্তন হয়নি। মারামারির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি কিন্তু মারামারি হয়নি এটা ওরা মিথ্যা কথা বলছেন। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি তাদেরকে উপজেলায় আসতে বলছি এবং পুনরায় খেয়া চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি কারণ ওখানে ঝামেলা হলে খেয়া বন্ধ হয়ে যাবে এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে উভয় পক্ষ আসলে আমি কথা বলে সমাধান করে দিবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।