এইচ.এম.এ রাতুল : বরিশালে ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করে। বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২০ অক্টোবর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম খলিফার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামের একতলা বিল্ডিংয়ের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭শ’ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় সোয়া লাখ টাকা মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়েরের পর তদন্ত ও অভিযান শুরু করে জেলা পুলিশ।
পরে বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সরসী তদন্ত কেন্দ্র ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুছা খান (২১), পলাশ খলিফা (৩৩), সাগর সিকদার (২৩) ও মাসুদ খান (৪০) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মুছা খান ও সাগর সিকদারের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃত সাগর সিকদারের বাসা থেকে লুণ্ঠিত ১টি স্বর্ণের চেইন, গ্রিল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ, মুছা খানের বাসা থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি রামদা ও ১টি ছোরা এবং অপর গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুদ খানের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসা হতে লুণ্ঠিত ১ জোড়া স্বর্ণের কানের ঝুমকা, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের রিং এবং নগদ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত পলাশ খানের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা, মুছা খানের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাত ও অবশিষ্ট লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।