শামীমা নাসরীন পুতুল : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত হামলায় মা হওয়ার স্বপ্ন পুরন হলোনা আসমা বেগমের। চার মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা আসমার পেটে লাথি মারায় ভ্রুনটি মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায়। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে আসমার বাড়িতে তার কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
গত ২ নভেম্বরের এ ঘটনায় আসমা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং৫১৮/২০২৩)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বিবাদী বশার ও ডায়না বেগম আসমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে লাথি এবং শরিরের বিভিন্ন অংশে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। এতে অন্ত:স্বত্ত্বা আসমার রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। এসময় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। পরদিন শুক্রবার গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। কিন্তু চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ভ্রুনটি নষ্ট হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ফলে মা হওয়ার স্বপ্ন পুরন হলোনা তার। দোলনার পাশে বসে দুচোখের পানিতে বুক ভেসে যায় আসমার বোবাকান্নায়। কান্নাজড়িত কন্ঠে আসমা বেগম বলেন, আমি এই খুনের বিচার চাই।
চরমোন্তাজ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, কোটে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
