বরগুনা প্রতিনিধি : “বন্যেরা বনে সুন্দর; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে!” কথাটি আবারও একবার প্রমানিত হল। বনের হরিণ বনে ফিরিয়ে দিয়ে কথাটির চরম বাস্তবতা একরকম চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান এবং পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বিশাল আকারের পায়লা হরণটি হরিণঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা বারোটার দিকে। পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নের এই হরিণঘাটা ইকোপার্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান এবং পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হয়ে হরিণটি অবমুক্ত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিষখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় হরিণটিকে উদ্ধার করে নদীতে টহলরত কোস্টগার্ডের সদস্যরা। কোস্টগার্ড পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হরিণটিকে হস্তান্তর করলে পিছনের বাম পায়ে আঘাত দেখা যায়। পরে আহত হরিণটিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তিনদিনের চিকিৎসা শেষে হরিণের আপন আবাসস্থলেই অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটার হরিণঘাটা বনের বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমল তালুকদার প্রমুখ।
পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষখালী নদী থেকে হরিণটি উদ্ধার হওয়ার পর দীর্ঘ ৩ দিন চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হরিণটি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার পর হরিণঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন,আমরা হরিণটিকে বনে অবমুক্ত করেছি। আশাকরি সে তার নিরপদ আশ্রয়ে এখন দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে ।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পর্যটন উদ্যাক্তা মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন,হরিণের জন্য এখন আর নিরাপদ নয় এই বনাঞ্চলটি। আশারাখি সরকার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিষয়টির প্রতি নজর দিবেন।