ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বিতর্কিত শিক্ষাকারিকুলাম বাতিল এবং ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার পায়তারার প্রতিবাদ সহ অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ঝালকাঠি ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাঁধায় পন্ড হয়ে রূপ নিলো মানববন্ধনে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝালকাঠি জেলা শাখা। মিছিলটি ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ-প্রশাসনিক বাঁধার কারণে বিক্ষোভকারীরা মিছিলটি বন্ধ করে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আকারে সমাবেশ করেন।
ইসলামী আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোঃ আরিফ বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী যুব আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম আল হাদী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সহ সভাপতি ছাত্রনেতা মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি এখন আর এই দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় না। দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে। একতরফা নির্বাচন বাতিল এবং বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে। এছাড়া ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু প্রোমটকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার পায়তারা বন্ধ করতে হবে। অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান তারা।
এসময় ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে ইসলামী আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের আয়োজন ছিলো বিক্ষোভ মিছিল করার, পুলিশ প্রসাশনের বাঁধার কারণে বাধ্য হয়ে মানববন্ধন আকারে সমাবেশ করতে হয়েছে। কেননা পুলিশের কথার বিরুদ্ধে গিয়ে মিছিল করতে গেলে তারা হামলা চালাবে নেতাকর্মীদের আটক করে জেলা বন্দি করতে পারে। তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা তো এই মুহূর্তে পুলিশের সাথে ঝামেলা করে পারবো না। তাই ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আকারে সমাবেশ শেষ করতে হয়েছে।
বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কাউকে বাঁধা দেওয়া হয়নি। আমরা ডিউটির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যতটুকু করা দরকার আমরা ততটুকুই করছি।