উজিরপুর প্রতিনিধি: জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় বরিশালের উজিরপুরে ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
একইসঙ্গে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য জেলা ছাত্রলীগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান শান্ত, সদস্য সাইদ ফকির, গুঠিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাজু হাওলাদার, গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম।
শনিবার (১৯ আগস্ট) উপজেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিম ঘরামী ও সাধারণ সম্পাদক জালিছ মাহমুদ শাওন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের কাছে এদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ৪জন ছাত্রলীগ নেতাকে একসাথে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যদিও উপজেলা ছাত্রলীগ একটি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পরে ফেসবুকে তার ছবিসংবলিত সংবাদ কার্ড শেয়ার করেন ওই চার ছাত্রলীগ নেতা। সেখানে আপত্তিকর কিছু বিষয় থাকায় পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট দিয়ে নেতাদের কাছে উপস্থাপন করে বহিষ্কারের দাবি তোলেন অন্য নেতাকর্মীরা। যদিও সূত্রটি জানিয়েছে পোস্ট করার ১ দিন পর আবার সেই পোস্ট মুছে ফেলেন ছাত্রলীগ নেতারা।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে বামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘গত ১৪ আগস্ট বিএনপি-জামায়াতের নেতারা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মৃত্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারকে দোষারোপ করে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করতে দেখে, তিনি সত্য ঘটনা জেনে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকেই সাঈদীর মৃত্যু হার্ট-অ্যাটাকে হয়েছে এ সংক্রান্ত একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে ও দলের নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমাও চান।
পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী জানিয়ে যতদিন বেঁচে থাকবেন নৌকার কর্মী হয়েই থাকবেন বলেও দাবি করেছেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
এদিকে বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বললেও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিম ঘরামী বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বহিষ্কারর করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এখন িতারা কি করবেন সেটা তাদের বিষয়।