ডেস্ক রিপোর্ট ॥ নিজের ৬১তম জন্মদিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নারীর ক্ষমতায়ন–কেন্দ্রিক একটি বিস্তৃত পাঁচ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বিশ্ব জীবনযাত্রা থেকে বৈশ্বিক রাজনীতি পর্যন্ত সবকিছু বদলে দিয়েছে। আর এ পরিবর্তনের মধ্যে নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
তিনি জানান, প্রতিদিন অগণিত নারী অনলাইনে হয়রানি, ভয়ভীতি, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের শিকার হচ্ছেন। “এটা সেই বাংলাদেশ নয়, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি,”—পোস্টে লিখেন তিনি। নারীর ব্যক্তিগত, পেশাগত ও অনলাইন জীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আগামী দিনের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমানের ঘোষিত পাঁচ দফা পরিকল্পনা হলো—
প্রথমত, জাতীয় অনলাইন সেফটি সিস্টেম—যেখানে ২৪/৭ হটলাইন, দ্রুত সাড়া-দাতা টিম এবং অভিযোগ জানানোর সহজ ডিজিটাল পোর্টাল থাকবে। বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্বে বাংলা কনটেন্ট মডারেশন আরও কার্যকর হবে।
দ্বিতীয়ত, সার্বজনীন জীবনে নারীর সুরক্ষা প্রোটোকল—যারা সাংবাদিক, কর্মী, শিক্ষার্থী বা সামাজিক নেতৃত্বে যুক্ত, তাদের জন্য দ্রুত আইনি ও ডিজিটাল সহায়তা এবং গোপনীয় অভিযোগ জানানো যাবে।
তৃতীয়ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা শিক্ষা—স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক ডিজিটাল নিরাপত্তা পাঠ বাধ্যতামূলক করা এবং ‘সেফটি ফোকাল পয়েন্ট’ শিক্ষক নিয়োগ।
চতুর্থত, কমিউনিটি-ভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা—নিরাপদ পরিবহন পথ, উন্নত স্ট্রিট লাইটিং, কমিউনিটি হেল্প ডেস্ক ও ট্রমা-সেন্সিটিভ সাপোর্ট সিস্টেম।
পঞ্চমত, নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি—জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, পরামর্শদাতা নেটওয়ার্ক এবং কাজের জায়গায় শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা বিস্তৃত করা।
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, “রাজনীতি বা মতাদর্শ যাই হোক—নারী নিরাপদ হলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়।”
