স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে মুশফিকুর রহিমের নাম ইতোমধ্যেই অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এবার তিনি প্রবেশ করলেন আরও এক এলিট তালিকায়—নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়ে। বৃহস্পতিবার মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মাত্র ১ রান লাগতো তাকে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর জন্য। আগের দিন ১৮৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক দিনের শুরুতেই সেই রান তুলে নেন।
শুরু থেকেই দৃঢ়তায় খেলতে থাকা মুশফিকের সেঞ্চুরির এটি ভিন্নমাত্রার কারণ, পুরো বিশ্বের মাত্র ১১ জন ক্রিকেটার এই অর্জন করেছেন। টেস্ট ইতিহাসের মাত্র ১২তম ঘটনাও এটি। লিটন দাসের সঙ্গে তার ৯০ রানের পার্টনারশিপ ইনিংসকে আরও মজবুত করে। লিটন তখন ব্যাট করছিলেন ৮৬ বলে ৪৭ রানে।
টপ-অর্ডার ব্যর্থতার দিনে মুশফিকের এই ইনিংস দলের হাল ধরে। সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল জয় ও মুমিনুল হক ভালো শুরু পাওয়ার পরও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তো ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কও। এমন চাপে নেমে প্রথমে মুমিনুলের সঙ্গে শতরানের জুটি; তারপর লিটনের সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি—এই দুই পার্টনারশিপ ছিল বাংলাদেশ ইনিংসের ভিত্তি।
নিজেদের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা কিংবদন্তিদের তালিকা দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিকেট ইতিহাসে সম্মানের। ১৯৬৮ সালে কলিন কাউন্ড্রে শুরু করেছিলেন এই রেকর্ড। এরপর জাভেদ মিয়াঁদাদ, গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম উল হক, রিকি পন্টিং, গ্রায়েম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট এবং ডেভিড ওয়ার্নার যোগ করেছেন নিজেদের নাম। পন্টিং তো করেছিলেন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি! রুট ও ওয়ার্নার করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি।
এই এলিট তালিকায় বাংলাদেশের মুশফিকের নাম যুক্ত হওয়া শুধু রেকর্ড নয়—এটি দেশের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা, অভিজ্ঞতা এবং নির্ভরতার প্রতীক হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
