ঢাকামঙ্গলবার , ২১ নভেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদন
নভেম্বর ২১, ২০২৩ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বরগুনা প্রতিনিধি : দেনমোহরের টাকা না দিয়ে স্ত্রীকে তালাক এবং সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া মামলায় বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপ আঞ্চলিক পরিচালক মুহাম্মাদ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক এ এস এম তারিক শামস এ আদেশ দেন।

মুহাম্মাদ মনিরুল হাসান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহী বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত আছেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মুহাম্মাদ মনিরুল হাসান ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বরগুনার ব্যবসায়ী মো. বাবুল মিয়ার মেয়ে সানজিদা আরেফিন লিনথার সঙ্গে বিয়ে হয়। তানিশা মেহেজাবিন সাফা ও তাহিরা হাসান সুজনা নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের পরিবারে। মনিরুল তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করলে দাম্পত্য জীবনের কলহ লেগে থাকতো। পরে স্ত্রী লিনথা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। পরে মনিরুল, লিনথাকে তালাক দিয়ে আবার ২০১৯ সালের ২২ জুন ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।

মনিরুল তার স্ত্রী লিনথাকে আবার ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তালাক দেন। এর আগে লিনথা বাদী হয়ে বরগুনার পারিবারিক আদালতে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে দেনমোহরের মামলা করেন। সেই মামলায় সিনিয়র সহকারী জজ এ বছর ২৭ মার্চ ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৩ টাকার রায় প্রদান করেন। বিবাদী মনিরুল হাসান ওই রায়ের বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। এ বছর ১৮ অক্টোবর উভয় পক্ষের আপিল শুনানি শেষে জেলা জজ মো. রফিকুল ইসলাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায় বহাল রেখে মনিরুল হাসানের আপিল খারিজ করে দেন।

বাদী সানজিদা আরেফিন লিনথা বলেন, আমি বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সোমবার ডিক্রি জারির মামলা করেছি। সেই মামলায় মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, আমার ১০ ও ৭ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রেখে আমাকে মনিরুল হাসান দুইবার তালাক দেয়। সন্তান দুটির কোনো খোঁজ নেয় না। অথচ তিনি বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে চাকরি করেন। মনিরুল পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আমার সংসার শেষ করে দিয়েছেন। ২০২১ সাল থেকে আমার সন্তানদের পড়াশোনা ও আমার ভরণপোষণ দিতেছেন আমার বাবা।

মুহাম্মদ মনিরুল হাসানের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

মনিরুল হাসানের আইনজীবী মো. মাসুদ খান বলেন, জেলা জজের রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল মনিরুল হাসান হাই কোর্টে রিভিশন করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।