নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ৫৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ সময় প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় এক আনন্দময় মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। ১৯৬৮ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি আজ দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম ভরসাস্থল হিসেবে পরিচিত।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বুধবার সকাল ৯টায় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. এ কে এম আক্তার মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কহিনুর বেগম, এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু। এছাড়া বরিশাল ও ঢাকা আয়োজক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম শুরু করেন। সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে কেক কাটা এবং চা-চক্র অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও জুলাই-আগস্টের শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যা উপস্থিতদের মধ্যে একটি আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করে।
বিশেষভাবে, সন্ধ্যায় কলেজ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জা করা হয়েছিল, যা অনুষ্ঠানটিকে আরও সুন্দর এবং উপভোগ্য করে তোলে। এবারের বর্ষপূর্তিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন, যা এই অনুষ্ঠানকে স্মৃতিময় করে তোলে।
আয়োজকরা বলেন, এই বর্ষপূতি অনুষ্ঠানটি শুধু একটি উৎসবের আয়োজনই ছিল না, বরং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি করেছে এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা ক্ষেত্রে শের-ই-বাংলার অবদানকে স্মরণ করেছে।