আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে মিয়ানমারে রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় নতুন করে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প–প্রবণ অঞ্চল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল আন্দামান সাগরে, মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে। অগভীর—মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরতায় উৎপন্ন হওয়ায় এটি পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়।
ঘটনার তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাংলাদেশসহ পুরো অঞ্চলে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পের পরদিন বাংলাদেশে আরও তিনবার মৃদু কম্পন অনুভূত হয়, যা বিশেষজ্ঞরা আফটারশক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
ভারতের ভূকম্পনবিদ্যা সংস্থা এনসিএস জানিয়েছে, বাংলাদেশে কম্পনের পাশাপাশি শনিবার মিয়ানমারেও অন্তত তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে—সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে ৩.৫ মাত্রা, ৭টা ১৯ মিনিটে ৩.৭ মাত্রা এবং রাত ১১টা ১ মিনিটে ৩.৪ মাত্রা। তবে এসব কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই টেকটোনিক প্লেটের সক্রিয় চলাচলের কারণে উচ্চ ভূমিকম্প–ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক বড় ও ছোট ধারাবাহিক কম্পনগুলো ভূতাত্ত্বিকদের মতে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ঘন ঘন কম্পন সাধারণত বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই এখনই ভবন নিরাপত্তা, উদ্ধার সক্ষমতা এবং জনসচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।” জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় পূর্বসতর্কতা গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
