এইচ.এম.এ রাতুল: বরিশালের বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে না পারায় এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আবার যেসব জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছেন তাদের জালেও ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
ফলে বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ একমাত্র বেসরকারি বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আগে যেখানে প্রতিদিন অর্ধশত ছোট-বড় ট্রলারে মাছ নিয়ে জেলেরা আসতেন, এখান আসছেন হাতে গোনা কয়েকটি।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ থেকে দৈনিক গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ মণ ইলিশ নিয়ে পোর্টরোডের মোকামে আসছেন জেলেরা। অথচ ইলিশের এ মৌসুমে বিগত বছরগুলোতে পোর্ট রোডের মোকামের আড়তগুলোতে দিনশেষে ১ থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো।
পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইয়ার হোসেন শিকদার জানান, পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মোট ১৭০টি আড়তে এ ভরা মৌসুমে আগে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হলেও বর্তমানে বেচাবিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার।
এদিকে জেলেরা জানান, গত কয়েকদিনের বৈরি আবহাওয়াতে নদীতেই জাল ফেলেই যায়নি। মেঘনাসহ দখিণের বড় বড় নদীতে এতে ঢেউ থাকে যে নৌকা উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়।
আড়তদাররা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী থেকে প্রায় শূন্যহাতে ফেরত আসছে জেলেরা। সাগরেও একই অবস্থা। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকা। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে না পারায় বিপাকে পড়ছেন তারা।
অন্যদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হলেও সংকটের কারণে এই অবতরণকেন্দ্র থেকে রপ্তানির জন্য ইলিশ ক্রয় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারক নীরব হোসেন টুটুল।
এমন অবস্থায় আগামী মাসে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৭০০ টাকা দরে। আর এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৬০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১০০ টাকার ওপরে।
এছাড়া রুই ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১১০০, পোমা মাছ ৪০০, চাষের কই ২০০, শিং ৪৫০, ট্যাংরা ৩৫০, তেলাপিয়া ২০০, গ্রাস কার্প ২৫০, সিলভার কার্প ২০০, কোরাল ১২০০ , রূপচাঁদা ১১০০ ,পাঙাস ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।