ঢাকাসোমবার , ১৪ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরির খবর
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. ফিচার

পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের গল্প-হাসাহাসি, প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদন
আগস্ট ১৪, ২০২৩ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের পারস্পরিক গল্প, উচ্চস্বরে কথা, হাসাহাসি আর মোবাইলে কথা বলায় মনোযোগ ব্যাহত হয় এক শিক্ষার্থীর। তাই এর প্রতিকার চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম মতিউর রহমান সরকার দুখু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সোমবার (১৪ আগস্ট) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।

এতে দুখু লিখেছেন- রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর দুইটা থেকে কলা ভবনের একটি কক্ষে আমাদের সেমিস্টারের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় আমি সামনের দিকে দ্বিতীয় বেঞ্চে বসি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সামনে বসা শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে আলাপ শুরু করেন। তাদের আলাপের কারণে পরীক্ষার খাতায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়ায় আমি একজন শিক্ষককে আমার সমস্যার কথা জানাই। তিনি আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের শেষের দিকের বেঞ্চে চলে যেতে বলেন।

কেন্দ্রের শেষের দিকের বেঞ্চে বসার কিছুক্ষণ পর আরেকজন শিক্ষক আমার পেছনে এসে বসেন এবং একটি ইংরেজি আর্টিকেল উচ্চস্বরে পড়া শুরু করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তিনি আর্টিকেল পড়েন। তাছাড়া কেন্দ্রে মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও শিক্ষকরা পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে উচ্চস্বরে মোবাইলে কথা বলেন।

দুখু আরও বলেন, এসব কারণে বিগত পঞ্চম সেমিস্টারে প্রায় প্রতিটি পরীক্ষা শেষের দিকে বসে দিতে হয়েছে। শিক্ষকরা পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে নাস্তা করেন ও উচ্চস্বরে হাসাহাসি করেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লিখিত আবেদনে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন।

এদিকে, লিখিত আবেদনের কপিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়। অনেকে তার পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় একাডেমিক ক্ষতির বিষয়টিও সামনে আনেন।

তবে সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই জানিয়ে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী বলেন, আমি ইতোমধ্যে শিক্ষকদের বলে দিয়েছি যেন উনারা এই বিষয়টা খেয়াল করেন।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।