নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে তিব্র তাপদাহে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ৪ স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরীর একটি স্কুলের ৩জন এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার একটি স্কুলে একজন শিক্ষার্থী রয়েছে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অভিভাবক ডেকে তিনজনকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছেন আর একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনির বিভিন্ন শাখার ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ৬ষ্ঠ শ্রেনির অসুস্থ শিক্ষার্থী তাসনিন জানায়, প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই পেটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ও বমি বমি ভাব হচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সহকারী শিক্ষক মো: কাওসার হোসেন জানান, বিদ্যুত না থাকায় প্রচন্ড গরমের ফলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সংবাদ দেয়া হলে তারা এসে তাদের সন্তানদের বাসায় নিয়ে যায়।
এদিকে সোমবার বেলা ১টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া জে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার ক্লাস চলাকালীন সময়ে গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিসুর রহমান।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনে তাকে দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম তার খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের ঠান্ডা পরিবেশে পাঠদানের বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণকে অবহিত করেছি।
বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বর্তমানে যেহেতু সারাদেশেই তাপদাহ চলছে তাই সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্কুল ম্যানেজিং কমিটি চাইলে পরিস্থিতি বিবেচনায় দু’একদিন স্কুল বন্ধ রাখতে পারেন। কেননা তাদের হাতে প্রত্যেক মাসে ৩ দিন ঐচ্ছিক ছুটি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, সোমবার দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।