বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশালে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে শশুড়ের কবর খুঁড়ে গাঁয়ের ঝাল মেটাল মাতাল স্বামী মোঃ দুলাল হাওলাদার। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দেহেরগতি গ্রামে মৃত্যু সেকান্দার হাওলাদারের বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে আপন চাচা মোঃ সেকান্দার হাওলাদারের মেয়ে মোসাঃ রেশমা আক্তার রিপাকে বিয়ে করেন শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র মোঃ দুলাল হাওলাদার। ওই ঘরে তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সন্তানরা বড় হলেও দুলাল হাওলাদার প্রায়ই নেশায় আশাক্ত থাকেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ এবং মারধেরের ঘটনা ঘটে। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেড় বছর পূর্বে স্ত্রী রেশমা আক্তার রিপা দুই পুত্র সন্তান নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরিতে যায়।
এদিকে বড় ছেলেকে নিয়ে দুলাল হাওলাদার বাড়ি থাকেন। স্বামী দুলাল স্ত্রীকে ঢাকা থেকে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় শুক্রবার ১৮ বছর পূর্বে মারা যাওয়া শশুড় মৃত্যু সেকান্দার হাওলাদারের কবর খুঁড়তে আসলে এলাকাবাসী বাধা প্রদান করলেও পাষন্ড মোঃ দুলাল হাওলাদার এলাকাবাসীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদান করেন।
এসময় স্থানীয়রা কোনো উপায়ত্ত না পেয়ে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছলে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় কবরে মাটি দেয়া হয়।
অভিযুক্ত মোঃ দুলাল হাওলাদারের ছোট ভাই মোঃ মাসুদ হাওলাদার জানান, আমার ভাই দুলাল একজন মাতাল। নেশাগ্রস্ত থাকায় তার স্ত্রীর দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় একটি গামের্ন্স চাকুরি করেন।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি তুষার কুমার মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।