ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছেন—এমন খবর রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতির প্রেক্ষাপটে তার এই সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে অনেকেই “মানবিক সিদ্ধান্ত” হিসেবে দেখছেন। অসমর্থিত সূত্র দাবি করছে, মায়ের কঠিন সময়ে তারেক আর দূরে থাকতে চান না।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। দলের ভেতরের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য আগমনকে সামনে রেখে দল ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বিমানবন্দর এলাকা ও রাজধানীর কয়েকটি কৌশলগত স্থানে পরিস্থিতিভিত্তিক পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
এদিকে, দলীয় নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নতুন গতি আনতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি—সব মিলিয়ে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে। জানা গেছে, তারেক রহমান লন্ডন থেকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং চিকিৎসার সব আপডেট পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা যদি সত্যি হয়, তবে তা শুধু পারিবারিক নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
