ডেস্ক রিপোর্ট: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি ইউনিয়নের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ কাগজপত্র ও সীল ব্যবহার করে বিয়ে ও তালাক রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আবু হানিফা। তিনি পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত সমতুল্লাহর ছেলে। সোমবার তার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নটির নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) তসলিম উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নিবন্ধিত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বা কাজী না হয়েও আবু হানিফা পাথরডুবি ইউনিয়নে কাজী অফিস চালু করেছেন। বাল্য বিয়ে সহ অবৈধ বিয়ে রেজিস্ট্রি করছেন। ভিজিটিং কার্ডে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত (শিক্ষানবিশ)’ ও ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ লোগো ব্যবহার করছেন। তার এমন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, নিবন্ধনহীন কাজী ইতোমধ্যে যেসব বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন সেগুলো কি আইনের দৃষ্টিতে বৈধ বলে বিবেচিত হবে? নিবন্ধনহীন কাজীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
পাথরডুবি ইউনিয়নের কাজী তসলিম উদ্দিন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে কিছুদিন আগে দাপ্তরিক কাজের জন্য আমার নামেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আবু হানিফা কাজী হলে তার নামেই দাপ্তরিক চিঠি আসতো। তিনি বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত আবু হানিফা বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। এখনো নিবন্ধন হয় নাই। নিবন্ধন না পেয়ে নিজ নামে কাজীর সাইনবোর্ড টাঙানো ঠিক হয়নি। সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছি। বিয়ে রেজিস্ট্রি করছি না।
কুড়িগ্রাম জেলা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ও কাজী সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান বলেন, তসলিম উদ্দিন পাথরডুবির নিবন্ধিত কাজী। সেখানে আবু হানিফা নামের কোনো কাজী নেই। তসলিম উদ্দিন ব্যতীত অন্য কেউ কাজী পরিচয় দিলে সে ভুয়া কাজী। ভুয়া কাজীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, কাজী পরিচয় দাবি করা উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইউএনওর নিকট প্রতিবেদন পেশ করা হবে। কে আসল কাজী আর কে ভুয়া কাজী তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কুড়িগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, পাথরডুবিতে একব্যক্তি কাজী না হয়েও কাজীর কাজ করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।