চরফ্যাসন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাসনে রোগীর স্বজনকে কক্ষে আটক করে মারধরের পর উল্টো পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে হোসাইন শাওন নামের এক মেডিকেল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রোববার চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ১০৪ নং কক্ষে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার যুবক জাকির হোসেন জানান, সকালে তিনি জ্বরে আক্রান্ত তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চরফ্যাসন হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আসেন। ওই সময় জরুরী বিভাগের কর্মরত ছিলেন চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী তাসপিয়া মুন। জরুরী বিভাগ থেকে ভর্তি স্লিপ নিয়ে জরুরী বিভাগের ১০৪ নং কক্ষে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তাসপিয়া মুন রোগী না দেখেই কয়েকটি পরিক্ষা লিখে দেন।
ভুক্তভোগী জাকির আগে তার বৃদ্ধ মাকে চিকিৎসক তাসপিয়া মুনকে দেখতে বললে তিনি রাগান্মিত হয়ে যান। এবং পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া রোগী দেখতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসপিয়া মুনের সাথে তার তর্ক হয়। পরে ওই কক্ষ থেকে তিনি বেড়িয়ে জরুরী বিভাগে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষন পরে ফের তাকে ওই কক্ষ থেকে ডেকে নেন চিকিৎসক হোসাইন শাওন। কক্ষে যাওয়ার পরপরই কিছু বুঝে উঠার আগে চিকিৎসক হোসাইন শাওনসহ রুপালী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে ভুক্তভোগী জাকিরকে এলোপাতারী মারধর করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাদের মারধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পরলেও ক্ষান্ত হননি ওই চিকিৎসকসহ তার পালিত দাললারা। কিছুক্ষন পরে কক্ষে আটক রেখে মারধরের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করে দেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের লোকজনসহ ওই ডাক্তারের কাছে ক্ষমা চাইয়ে তাকে ছেড়ে দেন বলেও জানান এ জাকির হোসেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক হোসাইন শাওন জানান, কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তোলা হয়েছে।
চরফ্যাসন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন বসাক জানান, খবর শুনে তিনি জরুরী বিভাগে পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে কাউকে পাননি।
চরফ্যাসন থানার ওসি মোহা. মোরাদ হোসেন জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সমোঝতার পরে ওই যুবকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।