ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ ও কিশোরী মেয়ে নাফিসাকে হত্যার মামলায় পুলিশের প্রধান সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বরিশালের নলছিটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদেই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন হবে। এর আগে পুলিশ জানায়, হত্যার আগে তরুণী গৃহকর্মী আসল নাম–ঠিকানা গোপন করে ওই বাসায় কাজ নেন। বাড়িতে যোগ দেওয়ার সময় কোনো মোবাইল ফোনও তার কাছে ছিল না। পরে যে ফোনটি তিনি নিয়ে যান, সেটি বাসা ছাড়ার পরই বন্ধ করা হয়। আশপাশের বেশিরভাগ সিসিটিভি অচল থাকায় তাকে শনাক্তে পুলিশকে বহু কৌশল ব্যবহার করতে হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় ছুরিকাঘাতে দুইজনকে হত্যা করা হয়। নিহত লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি এবং মেয়ে নাফিসার দেহে চারটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার পর রাতেই নিহতের স্বামী আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন যে বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা বাসায় প্রবেশ করেন এবং ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে ব্যাগ হাতে নিয়ে ভবন ত্যাগ করেন। মাত্র চারদিন আগে চাকরিতে যোগ দেওয়া এই তরুণীর আচরণও সন্দেহজনক বলে জানায় পরিবার।
মেয়র ও মেয়ের জানাজা শেষে মঙ্গলবার নাটোরের দক্ষিণ বড়গাছায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
