বরগুনা প্রতিনিধি :মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শতকর এলাকার পোল্ট্রি খামারি এবং ব্যবসায়ী হায়দার আলী খানের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের হামলায় ওই বাড়ির গৃহকর্তা এবং পোল্ট্রি খামারি হায়দার আলী খানের পায়ে এবং হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আল মামুন। খবর পেয়ে ওই রাতেই থানা পুলিশের একটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগে এলাকাবাসী খবর পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এসময় ডাকাদের ছোড়া গুলিতে হায়দার আলী খানের পা ও একটি হাত গুলি বিদ্ধ হয় ।
ঘটনার সময় ওই বাড়িটিতে হয়দার আলী খান ছাড়াও তার স্ত্রী, দুই ছেলে এবং ভায়রা কন্যা ছিলেন।
হায়দার আলী খানের ছোট ছেলে আমিনুল জানায়,”আমি পানি খাবার কথা বলে কৌশলে সুপারী গাছে বেয়ে নিচে নেমে আসি এবং লোকজনের কাছে বলি।” ডাকাতরাও বিল্ডিংয়ের সঙ্গে মিশেথাকা ওই সুপারী গাছ বেয়ে প্রথমে ছাদে ওঠে। এরপর ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে সকলকে বেঁধে জিম্মি করে রাখে। এসময় ৩ভরি ওজনের ৩টি স্বর্ণের চেইন ,চারটি স্বর্ণের হাতের আংটি, কানের একজোড়া ঝুমকা,১টি ল্যাপটপ সিসি ক্যামেরা, চারটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট এবং একটি বাটন সেট, নগদ সত্তর হাজার টাকা সহ অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়।
বুধবার ভোরে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় ডাকাতি এবং গুলির ঘটনায় বাড়ির লোকজনকে ভীতসন্ত্রস্ত দেখা যায়।
এ বিষয়ে পুলিশ কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পুলিশ জানায়,অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু আমরা বলতে চাচ্ছি না।
বিষয়টি প্রসঙ্গে রায়হানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, রাত তিনটার দিকে চৌকিদার আমাকে জানালে আমি থানা পুলিশকে খবর দেই।