নিজস্ব প্রতিবেদক: হামলার শিকার হয়ে বিচার না পাওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মী। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ভাঙবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আমরণ অনশনে বসেছেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আয়াত উল্লাহ। তার উপর হামলা চালিয়ে পায়ের কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ও শের ই বাংলা হল দখলে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আয়াত উল্লাহসহ ৬ জন আহত হয়।
হামলাকারীরা মাস্ক ও হেলমেট পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও তার কোনো খোঁজ নেয়নি। ঘটনার ৫ দিন পর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে আয়াত উল্লাহর পরিবার।
এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ঘটনা খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেই এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। একাধিক পক্ষ ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব পক্ষ প্রায়ই সংঘাতে জড়ায়।